সুনামগঞ্জ , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাওরে ইজারা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত : মৎস্য উপদেষ্টা তাহিরপুরে মডেল মসজিদ নির্মাণ ১৮ মাসের কাজ হয়নি ৫ বছরেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির নির্বাচন ছাতক নৌপথে অবাধে চাঁদাবাজি ছাতকে মারামারিতে যুবক নিহত অধিকার’র উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালিত বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপিত: সম্মাননা পেলেন শ্রেষ্ঠ জয়িতারা ধর্মপাশায় ৫ জয়িতাকে সংবর্ধনা এমএ মান্নান মেধা বৃত্তি পেয়েছে ফারিহা একাডেমি’র ৬ শিক্ষার্থী প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : তারেক রহমান ছুটি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস: দালাল না ধরলে পদে পদে হয়রানি অসহায় বৃদ্ধদের জন্য শান্তিনিবাস নির্মাণে চরম দুর্নীতি বিএনপিকে মাইনাসের ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারো নাই আকাশ দাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর দরগাপাশায় যুবদলের কর্মীসভা বিশ্বম্ভরপুরে বিআরডিএস’র হেলথ ক্যাম্পেইন উচ্ছেদের পর ফের দখলে ফুটপাত কমরেড বরুণ রায় জীবনভর মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন ধর্মপাশায় ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন

সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবুও হাতের নাগালে নেই দাম

  • আপলোড সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:২১:৫৮ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৭-১২-২০২৪ ১২:২১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ, তবুও হাতের নাগালে নেই দাম
স্টাফ রিপোর্টার :: বেশকিছু দিন ধরে সুনামগঞ্জের বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। শীতকালীন নতুন সবজিকে ঘিরে ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি হলেও দাম স্থিতিশীল থাকায় হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের আধুনিক পৌর কিচেন মার্কেট, পুরাতন জেল রোড এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম শুরু হচ্ছে ৫০, ৬০, ৭০ ও ৮০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে বর্তমান চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। এ কারণে সবজির দাম কমছে না। তাঁরা জানান কিছুদিনের মধ্যে সকল ধরনের সবজির দাম কমতে পারে। তবে তাদের দাবি স্থানীয় সবজির বেশিরভাগ বাইরে রপ্তানির কারণে বাজারে সবজির দাম কমে না। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি সরবরাহ না করে সবজি বাইরের এলাকায় রপ্তানি করেন। আর এ কারণেই সবজির দাম কমছে না। বিক্রেতাদের তথ্য মতে, বাজারে ফুলকপি প্রতি কেজি ৬০-৮০ টাকা ও বাঁধাকপি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতিকেজি শিম ৮০-৯০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০- ১২০ টাকা, টমেটো ১৫০-১৮০ টাকা, করলা ৬০-৮০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমরা কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০, মুলা ৪০, চিচিঙ্গা ৬০ টাকায়, ঝিঙ্গে ৭০, করলা ৭০, বরবটি- ৮০, কচুর মুখি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আলু (নতুন) ১২০ টাকা, গাজর ১৮০, শসা ৫০ টাকায়, লাউ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কলমিশাক, লালশাক, ডাঁটাশাক, পুঁইসহ বিভিন্ন শাকের দাম (মুঠি) কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়াও বাজারে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, এলসি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ১২০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি কিনতে আসা লোকমান মিয়া বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দাম কমেনি। গত কয়েকদিন ধরেই দাম স্থিতিশীল রয়েছে। সবজির মৌসুমেও যদি দাম না কমে তাহলে আর কিছু বলার থাকে না। মাজহারুল নামক এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রায় সব সবজির দাম ৬০-৮০ টাকা। সবজির এতো দাম হলে স্বস্তি মেলে কী করে? সবজিতে বাজার ভরপুর। অথচ দামের দাম বেশি। সবজির খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতা সোহাগ মিয়া বলেন, সুনামগঞ্জের বেশিরভাগ সবজি বাইরে পাচার হইযায়। যার কারণে আমাদের এখানে দাম কমে না। তবে আগের চেয়ে কিছুটা দাম কমেছে বলে দাবি এই দোকানির। খুচরা বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, পাইকারি বাজারে দাম না কমায় খুচরা বাজারে সবজির দাম কমেনি। কেনার সময় যদি কম দামে না কিনা যায় তাহলে বিক্রি করার সময় কিভাবে কম দামে বিক্রি করবো। সুনামগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায় এমন অভিযোগের প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স